‘স্যন্দিত বরফের কান্না’ কবিতাগ্রন্থের মূল প্রতিপাদ্য হলো মানব জীবনের অসংখ্য বেদনা ও দুঃখগাথা আছে যা হৃদয়ের ভেতর বরফ হয় জমে থাকে। জীবনের উষ্ণ পরিবিশে আবার সেই বেদনা ও দুঃখগাথা কখনো কখনো বরফের মতো চুয়ে চুয়ে ঝরে পড়ে। এমন সব বেদনা ও দুঃখগাথা নিয়ে এ কাব্যগ্রন্থ।
Books are a good source of information, where we can find the information in a written and pictorial form. In the beginning years, they use to be in a handwritten form which slowly changed into a printed one. They contain various types of information and are the best form of storing knowledge. In the old days, there was no internet and books were the only source of information. Even today we read books, we have books each from a different subject in schools and we enjoy reading them. Reading books is a very good habit and we should always promote reading.
অন্ধকার কাটা পড়ে—
বেপরোয়া ট্রেনের চাকায়,
যেমন দুরন্ত সঙ্গমে টুকরো হয়—
প্রিয় রমণীর সমূহ বাসনা।
আমরা ভালোবেসে ভালোবাসা—
এমনকি অঙ্কের পাঠও শিখিনি, না শিখেছি গাণিতিক হিসাব;
হিসাবে বড্ড কাঁচা বোকা পুরুষেরা
আমরা ধর্ষক হয়ে উঠি তমসিত রাতের অরণ্যে
কদর্য কন্দর আমাদের ঠিকানা;
কী করে বাজবে কৃষ্ণের বাঁশি!
কী করে ঘর হবে নন্দিন আবাস!
কিছু মানুষের ঘুমের শব্দ—
স্টেশনের চা-ওয়ালার নাম
ওপরে ঝোলানো ফ্যানের ব্লেডে—
কেটে টুকরো হয় স্থির অন্ধকারে,
তেমনই অনাদরে রমণীর প্রেম-অশনা ভেঙে খানখান
হয়ে যায় সঙ্গ-আকাঙ্ক্ষা!
পুরুষ,
আমি সেইসব কাচের গুঁড়ো, টুকরো হয়ে যাওয়া–
রতির বাসনা, খানখান আঁধারের কাতর মিনতি
রেখে দেবো বলে জেগে আছি স্টেশনের
অন্ধকার বিছানায়,
গৃহহীন জোনাকির মতো!
একটি নন্দিত মিলনের আকাঙ্ক্ষায়
অমি তাই সফুরার ঠিকানা বদলাই
রাতের ভূচিত্রে।
দামিনী ও মেঘনিশীথ
নকশি-আঁকা একফালি কাগজ—
এফোঁড়-ওফোঁড় করে ফুটিয়ে তুলব
বিধুর অবসাদ, মৃত্যু আর নিঃসঙ্গ বৃক্ষের পাতাঝরা সময়
ঢেকে দেবো আমার বিষাদতাড়িত দিনযাপনের হিসেব
ঢেকে দেবো প্রথম প্রেমের শব!
‘প্রথম’ বললেই দ্বিতীয়র কথা আসে
প্রকৃতপক্ষে আমার কোনও দ্বিতীয় ছিল না;
বিকেলের লালচে রঙে পিঠ ঠেকিয়ে—
ভাবি, সময় স্রোত ইচ্ছে স্বপ্ন সকলই বয়ে চলে যায়
যেতে যেতে যেতে ফুরিয়ে আসে…
এই যেমন একসময় পূর্ণ চোখেও—
তোকে ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি,
এখন আধবোঁজা চোখে সকল বুঝি, সমস্ত দেখি
যেমন দেখি, তুই আর তোর বিরহকে পাশাপাশি রেখে—
কী অনায়াসে প্রেমের ফুলকি ছড়াস!
ইদানীং হঠাৎ হঠাৎই—
মনের গলি ঘুঁজিতে ঢুকে পড়িস তুই,
ঠায় বসে থাকিস গহিনের জলজ পেয়ালায়;
কিছুরই হিসেব থাকে না আমার
কতবার আসিস, কতক্ষণ থাকিস কোনওকিছুরই না!
সময় এগিয়ে চলে
অথচ কী আশ্চর্য, আমার সময় স্থির হয়ে আছে—
সাত বছর তেত্রিশ দিন ছাপ্পান্ন ঘণ্টা;
পাহাড় মিশে যায় নীলে
পাহাড়ের বুক দীর্ণ করে গড়িয়ে নামে ঝরনার জল
জলের মাঝে লুকনো এক কষ্ট-পাথর—
আমার দিকে বিধুর চোখে তাকিয়ে থাকে
আমি না বলতে পারি আমাকে না সেদিনের—
স্নানের শিহরণ,
পাথর ঠিক মনে রাখে জলের উচ্ছ্বাস!
পাথরও বালিকণার মতো—
একদিন খসে পড়ে, জলস্রোতে মিশে যায়;
আমার চারদিকে এখন নৈঃশব্দের নীল আগুন
আকাশে অর্থহীন মেঘ উড়ে চলে
আমি অন্ধকারের বিষন্ন ছায়াতে স্থির
গভীর আঁধারেও স্পষ্ট দেখি—
তোকে জড়িয়ে আছে আমারই মতো একটা ‘কে’!
তুই আপন মনে ভেসে চলেছিস
হাসছিস কাঁদছিস, কী করে পারিস বল তো?
আমার তো হয়ে উঠল না!
দামিনী চেয়ে দেখ,
তোর ছায়া কিন্তু তোর পাশেই
একদিন চেষ্টা করে দেখিস দূরে সরিয়ে দিতে পারিস কি না!
যদি পারিস, তখন না হয় আমি–
প্রেমহীন আঁধারে ডুবতে ডুবতে সাঁতরে খুঁজব ডাঙা…।
আনালিয়া আমার প্রেমিকা
স্থির হয়ে থাকতে থাকতে—
বরফের চোখে ঘুম নেমে আসে,
বরফ মানে ‘আনালিয়া’, আমার প্রেমিকা
পূর্বাভাস বলে তুষার নামবে, আরও শীত
আরও আরও শীত!
জানলার শার্সিতে আনালিয়ার চোখ
কেঁপে ওঠা দেখি, কাচের ওপারে তুষার, কাচের ওপারে ভয়
আনালিয়ার হাত বরফের মতো হিম!
প্রেম হামাগুড়ি দিতে জানে না
স্থির দাঁড়িয়ে থাকে নয়তো মুখ থুবড়ে উপুড় শোয়
একবার উপুড় শুলে মধ্যসাগরে নাবিকের নৌকাডুবি;
প্রেমের শেকড় মৃত্যুবাহক
পতনের শব্দে ঘুমচূর্ণ অনিদ্রা নামে!
একবার অনিদ্রা নেমে এলে—
প্রেমিককে পেরিয়ে যায় প্রেমিকের অতীত,
সে তখন শূন্যগামী সিঁড়ি ধরে অনন্ত বায়!
একদিন আমি আনালিয়ার প্রেমিক ছিলাম।
সেই কাচের চাঁদঘর বরফভ্রমে এখন
শীত নামা হিমঘর;
সেই স্বাতিচোখ, ভোর পর ভাঁটফুল—
চুম্বনের ঘুমন্ত মুখ, তীর্থ দিঘির থই
কাজল চোখের ঠার, পুষ্ট ঠোঁটের কম্পন
কোথাও দেখি না!
একটি কঙ্কালের খোয়াবনামা
আজ সন্ধ্যায়—
আকাশে একটিও তারা নেই,
চাঁদের শরীরে খুব বেশি ক্ষত
ক্ষত আমার হৃৎপিণ্ডের লোহিত নিলয়েও!
যে নৌকা দিগভ্রান্ত
আমি তার মাঝি, বৈঠা নেই
বিপুল এই জলরাশির কোনখানে আমি—
ঠিক জানি না-পাড় খুঁজি!
‘আমায় ভাসাইলি রে আমায় ডুবাইলি রে…’
কে ভাসায় কেইবা ডোবায়, আমি তাও জানি না
আমি আসলে কিছুই জানি না
না কুল না শ্যাম, শুধু জানি শ্যামের বাঁশি—
গোপিনী গৃহত্যাগ করেছিল!
নৌকার ক্লান্ত পাটাতনে—
আমি চোখ বুঁজে থাকি, আমার খুব জলের পিপাসা
‘ওয়াটার ওয়াটার এভরিহয়ার, নর আ ড্রপ টু ড্রিংক…’!
এই কোলাজ পিপাসার জল—
অপার জলরাশির কোথাও নেই,
এই জল—
আসমুদ্র হিমাচলও দিতে পারে না,
আমি তাই কূল খুঁজি
খুঁজতে খুঁজতে একদিন কঙ্কাল হয়ে যাই
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অমর একুশে বইমেলায় এসেছে কবি ও কথাশিল্পী আবু জাফর খানের কবিতাগ্রন্থ ‘স্যন্দিত বরফের কান্না’। এটি তার নবম কবিতাগ্রন্থ এবং বিশতম গ্রন্থ। কবিতাগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে পোয়েম ভেইন পাবলিশার্স।
কবিতাগ্রন্থের দাম রাখা হয়েছে ৪০০ টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন আইয়ুব আল আমিন এবং অলঙ্করণ করেছেন ভারতের শিল্পী সুনয়নী নস্কর মান্না। কবিতাগ্রন্থটি পাওয়া যাচ্ছে ‘পাঠক সমাবেশ’-এর ১২ নম্বর প্যাভিলিয়নে।
কবিতাগ্রন্থ সম্পর্কে আবু জাফর খান বলেন, ‘‘আমার পেশা ডাক্তারি হলেও নেশা শিল্পসাহিত্য নিয়ে কাজ করা। কভিড ১৯ মহামারি দ্বারা পৃথিবী আক্রান্ত হতে শুরু করলে আমার মস্তিষ্কের মধ্যে এক অন্যধরণের কবিতাবোধ কজ করতে শুরু করে, সেই বোধ থেকে লিখি ফেলি ‘স্যন্দিত বরফের কান্না’ বইটি। ’’
বইটি নিয়ে পোয়েম ভেইন পাবলিশার্স একটি আন্তর্জাতিক মানের বুক প্রোমোশনাল এ্যানিমেশন ভিডিও বানিয়েছে। প্রকাশক দাবি করেছেন, এ ধরণের বুক প্রোমোশনাল এ্যানিমেশন ভিডিও বাংলাদেশে এই প্রথম।
আবু জাফর খান রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ঢাকা থেকে কমিউনিটি মেডিসিনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসাবে বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য বিভাগে ডেপুটি সিভিল সার্জন পদে কর্মরত।
প্রকাশিত গ্রন্থগুলির মধ্যে বেশ কটি উপন্যাস এবং কাব্যগ্রন্থ দেশে এবং দেশের বাইরে ভারত, যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকায় বাংলাভাষী পাঠকের মাঝে বিপুল সারা জাগায়; দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন পত্রিকায় আলোচিত ও প্রশংসিত হয়। ছাত্রজীবন থেকেই তাঁর লেখালেখি শুরু। এ পর্যন্ত ২০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা পোয়েমভেইন.কম-এর সম্পাদকীয় মণ্ডলীর সভাপতি ও ‘বাংলাদেশ কবিতা মঞ্চ’ সাহিত্য সংগঠনের সভাপতি।
বাংলা সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে তিনি ‘বাংলাদেশ কবিতা সংসদ’ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক, রবীন্দ্র স্মারক সম্মাননা, আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষে কথা সাহিত্যে (বাংলাদেশ) বাংলা সাহিত্য পদক, কোলকাতা থেকে ড. বি আর আম্বেদকর সাহিত্য সম্মাননা, কোলকাতা থেকে প্রকাশিত চোখ পত্রিকার পক্ষ থেকে চোখ সাহিত্য পদক, কবি জসীমউদ্দীন পরিষদ কর্তৃক পল্লীকবি জসীমউদ্দীন স্বর্ণপদক, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে নজরুল সাহিত্য স্মৃতি স্বর্ণপদক এবং মাইকেল মধুসূদন একাডেমি, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে মাইকেল মধুসূদন স্মৃতি সম্মাননা, নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের পক্ষ থেকে সম্মাননা পদক এবং বাংলাদেশ কবিতা সংসদ কর্তৃক কথাসাহিত্যে বাংলা সাহিত্য স্বর্ণপদক অর্জন করেন।
আত্মপ্রচার বিমুখ এই সাহিত্য প্রতিভা নীরবে নিভৃতে নিরন্তর সাহিত্য চর্চা করে যাচ্ছেন।
কবি ও কথাশিল্পী আবু জাফর খানকে নিবেদিত কবিতাসন্ধ্যার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কবিতা মঞ্চ।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে হবে ‘কবিতার অনুধ্যানে আবু জাফর খান’ শীর্ষক এই কবিতাসন্ধ্যা।
এ আয়োজনে স্বাগত সম্ভাষণে থাকবেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি করবেন বাচিকশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বরকল্পন আবৃত্তিচক্র। আবহ সঙ্গীতে থাকবেন ধ্রুপদী রেকর্ডসের তরুণ সংগীতশিল্পী সালাহ উদ্দীন মাহবুব ও বংশীবাদক সুজন মিয়া। সমাপনী সম্ভাষণে থাকবেন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন কবি ফারুক মাহমুদ। অনুষ্ঠান সহযোগী হিসেবে থাকবে ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশ ও বেহুলাবাংলা।
কবি ও কথাশিল্পী আবু জাফর খানের জন্ম পাবনার সুজানগর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগে ডেপুটি সিভিল সার্জন পদে কর্মরত। এ পর্যন্ত এককভাবে তার ১৪টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি উপন্যাস, ৬টি কাব্যগ্রন্থ ও ১টি গল্পগ্রন্থ। যৌথভাবে দুই বাংলার কবিদের সঙ্গে ৫টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি ‘বাংলাদেশ কবিতা সংসদ’র আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক, রবীন্দ্র স্মারক সম্মাননা, আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে কথা সাহিত্যে (বাংলাদেশ) বাংলা সাহিত্য পদক, কলকাতা থেকে ড. বি আর আম্বেদকর সাহিত্য সম্মাননা, কলকাতা থেকে চোখ সাহিত্য পদক, পল্লীকবি জসীম উদদীন স্বর্ণপদক, পশ্চিমবঙ্গ থেকে নজরুল সাহিত্য স্মৃতি স্বর্ণপদক এবং মাইকেল মধুসূদন স্মৃতি সম্মাননা অর্জন করেন।
অমর একুশে বইমেলায় এসেছে কবি ও কথাশিল্পী আবু জাফর খানের কবিতাগ্রন্থ ‘স্যন্দিত বরফের কান্না’। এটি তার নবম কবিতাগ্রন্থ এবং বিশতম গ্রন্থ। কবিতাগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে পোয়েম ভেইন পাবলিশার্স।
কবিতাগ্রন্থের দাম রাখা হয়েছে ৪০০ টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন আইয়ুব আল আমিন এবং অলঙ্করণ করেছেন ভারতের শিল্পী সুনয়নী নস্কর মান্না। কবিতাগ্রন্থটি পাওয়া যাচ্ছে ‘পাঠক সমাবেশ’-এর ১২ নম্বর প্যাভিলিয়নে।
কবিতাগ্রন্থ সম্পর্কে আবু জাফর খান বলেন, ‘‘আমার পেশা ডাক্তারি হলেও নেশা শিল্পসাহিত্য নিয়ে কাজ করা। কভিড ১৯ মহামারি দ্বারা পৃথিবী আক্রান্ত হতে শুরু করলে আমার মস্তিষ্কের মধ্যে এক অন্যধরণের কবিতাবোধ কজ করতে শুরু করে, সেই বোধ থেকে লিখি ফেলি ‘স্যন্দিত বরফের কান্না’ বইটি। ’’
বইটি নিয়ে পোয়েম ভেইন পাবলিশার্স একটি আন্তর্জাতিক মানের বুক প্রোমোশনাল এ্যানিমেশন ভিডিও বানিয়েছে। প্রকাশক দাবি করেছেন, এ ধরণের বুক প্রোমোশনাল এ্যানিমেশন ভিডিও বাংলাদেশে এই প্রথম।
আবু জাফর খান রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ঢাকা থেকে কমিউনিটি মেডিসিনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসাবে বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য বিভাগে ডেপুটি সিভিল সার্জন পদে কর্মরত।
প্রকাশিত গ্রন্থগুলির মধ্যে বেশ কটি উপন্যাস এবং কাব্যগ্রন্থ দেশে এবং দেশের বাইরে ভারত, যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকায় বাংলাভাষী পাঠকের মাঝে বিপুল সারা জাগায়; দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন পত্রিকায় আলোচিত ও প্রশংসিত হয়। ছাত্রজীবন থেকেই তাঁর লেখালেখি শুরু। এ পর্যন্ত ২০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা পোয়েমভেইন.কম-এর সম্পাদকীয় মণ্ডলীর সভাপতি ও ‘বাংলাদেশ কবিতা মঞ্চ’ সাহিত্য সংগঠনের সভাপতি।
বাংলা সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে তিনি ‘বাংলাদেশ কবিতা সংসদ’ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক, রবীন্দ্র স্মারক সম্মাননা, আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষে কথা সাহিত্যে (বাংলাদেশ) বাংলা সাহিত্য পদক, কোলকাতা থেকে ড. বি আর আম্বেদকর সাহিত্য সম্মাননা, কোলকাতা থেকে প্রকাশিত চোখ পত্রিকার পক্ষ থেকে চোখ সাহিত্য পদক, কবি জসীমউদ্দীন পরিষদ কর্তৃক পল্লীকবি জসীমউদ্দীন স্বর্ণপদক, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে নজরুল সাহিত্য স্মৃতি স্বর্ণপদক এবং মাইকেল মধুসূদন একাডেমি, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে মাইকেল মধুসূদন স্মৃতি সম্মাননা, নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের পক্ষ থেকে সম্মাননা পদক এবং বাংলাদেশ কবিতা সংসদ কর্তৃক কথাসাহিত্যে বাংলা সাহিত্য স্বর্ণপদক অর্জন করেন।
আত্মপ্রচার বিমুখ এই সাহিত্য প্রতিভা নীরবে নিভৃতে নিরন্তর সাহিত্য চর্চা করে যাচ্ছেন।
চিন্তাসূত্র ডেস্ক
কবি ও কথাশিল্পী আবু জাফর খানকে নিবেদিত কবিতাসন্ধ্যার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কবিতা মঞ্চ। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ‘কবিতার অনুধ্যানে আবু জাফর খান’ শীর্ষক এই কবিতাসন্ধ্যা।
এ আয়োজনে স্বাগত সম্ভাষণে থাকবেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি করবেন বাচিকশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বরকল্পন আবৃত্তিচক্র। আবহ সঙ্গীতে থাকবেন ধ্রুপদী রেকর্ডসের তরুণ সঙ্গীতশিল্পী সালাহ উদ্দীন মাহবুব ও বংশীবাদক সুজন মিয়া। সমাপনী সম্ভাষণে থাকবেন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন কবি ফারুক মাহমুদ। অনুষ্ঠান সহযোগী হিসেবে থাকবে ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশ ও বেহুলাবাংলা।
কবি ও কথাশিল্পী আবু জাফর খানের জন্ম পাবনার সুজানগর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগে ডেপুটি সিভিল সার্জন পদে কর্মরত। এ পর্যন্ত এককভাবে তার ১৪টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি উপন্যাস, ৬টি কাব্যগ্রন্থ ও ১টি গল্পগ্রন্থ। যৌথভাবে দুই বাংলার কবিদের সঙ্গে ৫টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ‘বাংলাদেশ কবিতা সংসদ’র আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক, রবীন্দ্র স্মারক সম্মাননা, আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে কথা সাহিত্যে (বাংলাদেশ) বাংলা সাহিত্য পদক, কলকাতা থেকে ড. বি আর আম্বেদকর সাহিত্য সম্মাননা, কলকাতা থেকে চোখ সাহিত্য পদক, পল্লীকবি জসীম উদদীন স্বর্ণপদক, পশ্চিমবঙ্গ থেকে নজরুল সাহিত্য স্মৃতি স্বর্ণপদক এবং মাইকেল মধুসূদন স্মৃতি সম্মাননা অর্জন করেন।